স্মার্টফোনের চার্জার নষ্ট হয়ে গেলে নতুন আরেকটি চার্জার কেনার জন্য প্রথমেই যেই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় আসে তার একটি হচ্ছে- চার্জারটি ফাস্ট চার্জার কিনা এই বিষয়টি।
কারন, বর্তমানে বাজারে অনেক ধরণের চার্জার থাকায় কোনটি নরমাল আর কোনটি অরিজিনাল ফাস্ট চার্জার, সেটি বোঝা আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে যায়।
তাই, আপনারা যেন খুব সহজেই মোবাইলের ফাস্ট চার্জার শনাক্ত করতে পারেন তার জন্য এই আর্টিকেলে আমরা মোবাইলের ফাস্ট চার্জার চেনার উপায় নিয়ে আলোচনা করব।
সেইসাথে ফাস্ট চার্জার এর দাম কত, কোন কোম্পানির ফাস্ট চার্জার ভালো এবং চার্জার কেনার আগে করনীয় কি সেবিষয়েও ধারণা দিব।
আলোচ্য বিষয়সমূহ
পড়ুনঃ ১২ ভোল্ট ব্যাটারির চার্জারের দাম
ফাস্ট চার্জিং কি
সাধারণত চার্জিং স্পিড অনুযায়ী মোবাইলের চার্জারকে বেশ কয়েকভাবে ভাগ করা হয়। তাদের মধ্যে একটি হলো ফাস্ট চার্জিং।
ফাস্ট চার্জিং হচ্ছে স্মার্টফোনগুলোর একটি অত্যাধুনিক চার্জিং প্রযুক্তি। এটি মোবাইল ফোনকে অনেক কম সময়ে এবং দ্রুত গতিতে চার্জ করে থাকে।
সাধারন চার্জারগুলো যেখানে একটি মোবাইলকে চার্জ করতে কয়েক ঘন্টা সময় নেয় সেখানে একটি ফাস্ট চার্জার মোবাইল ফোনকে মাত্র আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টার মধ্যে চার্জ করতে পারে।
শুধু তাই নয়, বর্তমানে এমন কিছু ফাস্ট চার্জার রয়েছে যেগুলো আরো কম সময়ে মোবাইলকে ফুল চার্জ করতে পারে। যেমনঃ শাওমির ১২০ ওয়াটের যেই ফাস্ট চার্জারটি রয়েছে সেটি দ্বারা Xiaomi 11T Pro ফোনটিকে চার্জ করতে মাত্র সতের মিনিট সময় লাগে।
ফাস্ট চার্জার চেনার উপায়
বর্তমানে বাজারে দুই ধরণের চার্জার পাওয়া যায়। একটি হচ্ছে নরমাল চার্জার এবং অন্যটি হচ্ছে ফাস্ট চার্জার।
আর এখনকার চার্জারগুলোর বিল্ডইন ডিজাইন অনেকটা অরিজিনাল চার্জারের মতো হওয়ায়, আপাতদৃষ্টিতে এই চার্জারগুলোকে দেখে কোনটি ফাস্ট চার্জার আর কোনটি নরমাল চার্জার সেটি বোঝা বেশ কঠিন।
তাহলে এখন মোবাইলের অরিজিনাল ফাস্ট চার্জার চিনবেন কিভাবে? তো ফাস্ট চার্জার চেনার কিছু উপায় রয়েছে। যেগুলো ফলো করলে কোনটি নরমাল চার্জার এবং ফাস্ট চার্জার সেটি সহজেই বোঝা যাবে। যেমনঃ
1. চার্জারের ভোল্টেজ এবং কারেন্ট চেক করা
ফাস্ট চার্জার চেনার একটি সহজ উপায় হচ্ছে চার্জার অ্যাডাপ্টরের আউটপুটের ভোল্টেজ এবং কারেন্ট কত অ্যাম্পিয়ার সেটি চেক করা।
সাধারণত একটি ফাস্ট চার্জারের ভোল্টেজ বেশিরভাগ সময়েই 5V, 9V, 11V, 12V এবং অ্যাম্পিয়ার 2A, 3A, 2.4A হয়ে থাকে।
অন্যদিকে আপনি চার্জার কেনার সময় চার্জারেরর গায়ে লক্ষ্য করলে দেখবেন সেখানে Output নামে একটি অপশন রয়েছে। আর তার পাশে 5.0V=3.0A অথবা 11V=3A এরকম কিছু লেখা রয়েছে।
এক্ষেত্রে চার্জারের গায়ে যদি অ্যাম্পিয়ার 2A অথবা তার বেশি লেখা থাকে তাহলে বুঝবেন সেটি একটি ফাস্ট চার্জার।
2. চার্জারের স্পেসিফিকেশন পড়া
প্রত্যেকটি চার্জারের স্পেসিফিকেশন অথবা ডেসক্রিপশনে সেই চার্জারটি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দেওয়া থাকে।
এক্ষেত্রে যেসকল চার্জারে ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে সেসকল চার্জারের স্পেসিফিকেশনে সেটি বিশেষভাবে উল্লেখ করা থাকে।
তাই ফাস্ট চার্জার চেনার জন্য, চার্জারটির স্পেসিফিকেশনে Fast Charging, Quick Charge 2.0, Quick Charge 3.0, QC2.0 or QC3.0, অথবা Super Charge (SS) এই লেখাগুলোর যেকোনো একটি আছে কিনা সেটি খুঁজে বের করবেন।
যদি চার্জারটি ফাস্ট চার্জার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই এগুলোর যেকোনো একটি লেখা সেখানে দেখতে পাবেন।
3. চার্জারটিকে ডিভাইসের সাথে কানেক্ট করা
ফাস্ট চার্জার চেনার সবচেয়ে সহজ এবং তাৎক্ষণিক উপায় হচ্ছে চার্জারটি ফোনের সাথে সংযোগ করা।
এক্ষেত্রে চার্জারটিকে যদি মোবাইলের সাথে কানেক্ট করেন, আর সেটি যদি ফাস্ট চার্জার হয়ে থাকে তাহলে মোবাইলের ডিসপ্লে-তে একটি চার্জিং ইফেক্ট দেখতে পাবেন। ঠিক আপনার ফোনের অরিজিনাল চার্জার দিয়ে চার্জ দেওয়ার সময় যেমনটি দেখতে পেতেন।
মনে রাখবেন, এর জন্য আপনার মোবাইলটিকে অবশ্যই ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টেড হতে হবে। কারন আপনার ফোনে যদি ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট না করে, তাহলে আপনি ডিসপ্লে-তে কোনো ফাস্ট চার্জিং ইফেক্ট দেখতে পাবেন না।
4. চার্জারের ইউএসবি কেবল চেক
ফাস্ট চার্জার চেনার একটি সহজ উপায় হচ্ছে, চার্জারটিতে থাকা ইউএসবি কেবলটি ফাস্ট চার্জারের জন্য উপযুক্ত কিনা সেটি নির্ণয় করা। আর এটি করার জন্য নিচের টিপস দুটি ফলো করুন-
1. থিকনেস চেকঃ সাধারণত মোটা বৈদ্যুতিক তারগুলোতে ইলেকট্রিসিটি রেজিস্টেন্স কম হওয়ায় ভোল্টেজ ড্রপ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
যার কারণে ফাস্ট চার্জারগুলোতে সবসময় মোটা ইউএসবি ক্যাবলের ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই, আপনি যেই চার্জারটি নিতে চাচ্ছেন সেই চার্জারটিতে যদি ইউএসবি কেবল থাকে তাহলে প্রথমে তার থিকনেস চেক করে নিবেন।
2. ক্যাবলের অ্যাম্পিয়ার চেকঃ সাধারণত একটি নরমাল চার্জারের ক্ষেত্রে ইউএসবি কেবলের অ্যাম্পিয়ার বেশিরভাগ সময়ই 0.5A হয়।
অপরদিকে একটি ফাস্ট চার্জারের ইউএসবি কেবলের অ্যাম্পিয়ার কমপক্ষে 2A হয়। তাই ইউএসবি কেবলটির অ্যাম্পিয়ার যেন 2A এর বেশি হয় সেদিকে নজর রাখবেন।
এক্ষেত্রে চার্জারটির কেবলের থিকনেস যদি মোটা এবং 2A এর বেশি হয় তাহলে বুঝবেন সেটি একটি ফাস্ট চার্জার।
তবে, শুধুমাত্র ইউএসবি কেবল চেক করে একটি ফাস্ট চার্জার চেনা বেশ কঠিন। তাই আপনারা এর পাশাপাশি উপরে উল্লিখিত অন্যান্য পদ্ধতিগুলোও ফলো করুন।
আরো পড়ুনঃ সার্কিট ব্রেকারের দাম
ফাস্ট চার্জার কেনার ক্ষেত্রে করণীয়
একটি উপযুক্ত ফাস্ট চার্জার কেনার ক্ষেত্রে যেসকল বিষয় মেনে চলা জরুরীঃ
1. ফোনে সাপোর্টে ওয়াটেজ অনুযায়ী চার্জার কিনুন
চার্জার কেনার আগে আপনার ফোন কত ওয়াটের চার্জার সাপোর্ট করে সেটি জেনে নিন এবং সেই ওয়াটের চার্জার কিনুন।
কেননা সঠিক ওয়াটের চার্জার ডিভাইসের ব্যাটারির লাইভ টাইম বজায় রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ফোনের সাপোর্টেড ওয়াটের তুলনায় বেশি অথবা কম ওয়াটের চার্জার ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে।
2. ভালো ব্রান্ডের চার্জার কিনুন
সবসময় ভালো এবং বিশ্বস্ত ব্রান্ডের চার্জার কেনার চেষ্টা করুন। কারন ভালো ব্রান্ডের চার্জারগুলো অন্যান্য চার্জারের তুলনায় অনেক মানসম্মত এবং নিরাপদ হয়।
এছাড়া ব্রান্ডের চার্জারগুলোর টেকসই বেশি হওয়ায় চার্জার অনেক বছর যাবৎ ব্যবহার করা যায়।
3. সার্টিফিকেশন চেক করুন
চার্জার কেনার সময় অবশ্যই প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেশন চেক করুন। এক্ষেত্রে চার্জারটিতে CE, UL, FCC, ETL প্রভৃতি সার্টিফিকেশন আছে কিনা তা যাচাই করুন।
কারন সার্টিফাইড চার্জারগুলি চার্জারের নিরাপত্তা ও গুণগত মান নিশ্চিত করে, যা ডিভাইসকে ওভারলোড, শর্ট সার্কিট, ওভারহিটিং এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
4. অনলাইনে রিভিউ পড়ুন
চার্জার কেনার আগে অনলাইনে যেমনঃ গুগল, ইউটিউব এবং ফেসবুক গ্রুপগুলোতে চার্জারের রিভিউ পড়ুন।
এতে আপনি বিভিন্ন চার্জার সম্পর্কে ইউজারদের অভিজ্ঞতা এবং মতামত জানতে পারবেন। যা আপনাকে বিভিন্ন চার্জারের সমস্যা জানতে এবং একটি ভালো মানের চার্জার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
5. ওয়ারেন্টি রয়েছে এমন চার্জার কিনুন
চার্জার কেনার পর পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হলে সেটি যেন চেঞ্জ করে নিতে পারেন, তার জন্য অবশ্যই ওয়ারেন্টি সহ চার্জার কিনুন।
পড়ুনঃ সোলার চার্জ কন্ট্রোলারের দাম ২০২৪
ফাস্ট চার্জার এর দাম কত
আমাদের দেশে ফাস্ট চার্জারের দাম ৫০০ থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে কিছু উচ্চ মানের ব্র্যান্ডের চার্জারের দাম আরও বেশি হতে পারে।
সাধারণত ফাস্ট চার্জারের দাম বিভিন্ন ব্রান্ড, চার্জারের ওয়াট, মডেল এবং কোথায় থেকে কিনছেন এগুলোর উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়ে থাকে।
তাই, আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড বা মডেলের ফাস্ট চার্জারের দাম জানতে চান তাহলে আপনার স্থানীয় ইলেক্ট্রনিক্স দোকান অথবা Daraz, Pickaboo, Robishop, Smartdeal, Ajkerdeal বা Applegadgetsbd এর মতো অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে খোঁজ নেওয়া সবচেয়ে ভালো হবে।
কারণ এই দুটি জায়গা থেকে আপনি চার্জারের আপডেটেট মূল্য জানতে পারবেন।
তো আপনাকে ফাস্ট চার্জারের দামের ধারণা দিতে, নিচে কিছু কোম্পানির ফাস্ট চার্জারের দাম উল্লেখ করলামঃ
চার্জারের মডেল | দাম |
Xiaomi Mi 33W Fast Charger | 850 টাকা |
Xiaomi Mi 18W Charging Dock | 500 টাকা |
Realme 33W SuperDart Power Adapter Charger | 1,250 টাকা |
Anker PowerPort III 20W | 1,250 টাকা |
Samsung 25W USB-C Power Adapter | 2,500 টাকা |
OnePlus Warp Charge 65W Power Adapter | 2,100 টাকা |
OPPO Adaptor Charger 33W SuperVOOC | 950 টাকা |
মনে রাখবেন, বিভিন্ন অফার ও ডিসকাউন্টের উপর নির্ভর করে উপরোক্ত দাম সময়ে সময়ে কম বেশি হতে পারে। তাই আপডেটেড প্রাইস জানতে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোর ওয়েবসাইট বা ইলেক্ট্রনিক্স দোকানে ভিজিট করুন।
কোন কোম্পানির ফাস্ট চার্জার ভালো
নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় কোম্পানি এবং তাদের ফাস্ট চার্জার প্রযুক্তির নাম উল্লেখ করা হলো:
Anker: Anker এর বিভিন্ন মডেলের ফাস্ট চার্জারগুলো খুবই উন্নত এবং নির্ভরযোগ্য। বিশেষ করে, তাদের পাওয়ারপোর্ট সিরিজটি ফাস্ট চার্জিংয়ের জন্য বেশ জনপ্রিয়।
Apple: অ্যাপল এর 20W USB-C Power Adapter ও MagSafe চার্জারগুলি iPhone এবং অন্যান্য Apple ডিভাইসকে দ্রুত চার্জ করার জন্য খুবই কার্যকর।
Samsung: স্যামসাং এর ফাস্ট চার্জারগুলি স্যামসাং ডিভাইসের জন্য সবচেয়ে ভালো। তাদের Adaptive Fast Charging এবং Super Fast Charging প্রযুক্তিগুলো মোবাইল দ্রুত চার্জের ক্ষেত্রে অনেক ভালো পারফর্ম করে থাকে।
Xiaomi: শাওমি এর ফাস্ট চার্জারগুলি বিশেষ করে Xiaomi এবং অন্যান্য এন্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য খুবই ভালো। বিশেষ করে, তাদের Mi Turbo Charge প্রযুক্তির চার্জারটি খুবই দ্রুত মোবাইলকে চার্জ করে থাকে।
OnePlus: ওয়ানপ্লাস এর Warp Charge প্রযুক্তির ফাস্ট চার্জারটি OnePlus ডিভাইসকে দ্রুত চার্জ করার ক্ষেত্রে খুবই জনপ্রিয়।
Oppo: ফাস্ট চার্জিং এর ক্ষেত্রে অপো তাদের VOOC (Voltage Open Loop Multi-step Constant-Current Charging) প্রযুক্তির জন্য বেশ পরিচিত।
অপো তাদের ফোনগুলোকে এই VOOC প্রযুক্তির চার্জারের মাধ্যমে অল্প সময়ে চার্জ করতে পারে। এছাড়াও Oppo এর কিছু মডেলে SuperVOOC প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, যা আরও দ্রুত চার্জিং সুবিধা প্রদান করে।
Vivo: ভিভো এর 33W, 44W, এবং 55W এর চার্জারগুলো ফাস্ট চার্জিং এর জন্য বেশ জনপ্রিয়। Vivo তাদের স্মার্টফোনগুলোকে দ্রুত চার্জ করার জন্য FlashCharge প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
Realme: রিয়ালমি তাদের Dart Charge এবং SuperDart Charge প্রযুক্তির চার্জারের জন্য পরিচিত। এই চার্জারগুলো ডিভাইসকে 30W, 65W, এবং 125W পর্যন্ত দ্রুত চার্জ করতে পারে।
উপসংহার
ফাস্ট চার্জার কেনার ক্ষেত্রে আপনারা সমসময় ভালো ব্রান্ডের চার্জার কেনার চেষ্টা করবেন। এরপর চার্জারের স্পেসিফিকেশন, সার্টিফিকেশন এবং আপনার ডিভাইসের সাথে সামঞ্জস্যতা ভালোভাবে যাচাই করবেন।
এরপর চার্জারটি ফাস্ট চার্জার কিনা সেটি যাচাই করার জন্য উপরে দেওয়া পদ্ধতিগুলো ফলো করবেন।
আশা করি, আমাদের এই গাইডলাইনটি সঠিক ফাস্ট চার্জার চেনার ও কেনার ক্ষেত্রে আপনাকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে এবং সেইসাথে আপনার চার্জিং অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে।
আরো পড়তে পারেনঃ ফ্যানের রেগুলেটরের দাম ২০২৪
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
মোবাইল চার্জার কত ওয়াট বোঝার উপায় কি?
চার্জারে যদি ওয়াট দেওয়া না থেকে ভোল্টেজ এবং অ্যাম্পিয়ার থাকে, তাহলে চার্জারের ওয়াট বের করার জন্য ভোল্টেজ এবং অ্যাম্পিয়ারকে গুন করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি চার্জারের ভোল্টেজ 11V এবং অ্যাম্পিয়ার 3A হয়, তাহলে 11 গুণ 3 এর মানে 33W, অর্থাৎ চার্জারের পাওয়ার 33 ওয়াট।
ফাস্ট চার্জার ব্যবহার করলে কি ব্যাটারির ক্ষতি হয়?
না, ফাস্ট চার্জার ব্যবহার করলে ব্যাটির ক্ষতি হয় না। তবে নিম্নমানের চার্জার এবং ব্যাটারির সাথে সামঞ্জস্য নয় এমন চার্জার ব্যবহার করলে ব্যাটারির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফাস্ট চার্জার কি সব ডিভাইসে কাজ করে?
না, সব ডিভাইসে ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে না। শুধুমাত্র যেসকল ডিভাইসে ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে সেসমস্ত ডিভাইসেই ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে।
মোবাইল ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে কিনা কিভাবে বুঝবো?
মোবাইল ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে কিনা সেটি ফোনের ম্যানুয়াল চেক করার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন।
ফাস্ট চার্জার এবং সাধারণ চার্জারের মধ্যে পার্থক্য কী?
সাধারণ চার্জার কম পাওয়ারের আউটপুট প্রদান করে, যার ফলে ব্যাটারি চার্জ হতে অনেক বেশি সময় লাগে। অন্যদিকে ফাস্ট চার্জার উচ্চ পাওয়ারের আউটপুট প্রদান করে, যা ব্যাটারিকে খুবই দ্রুত চার্জ করতে পারে।
ফাস্ট চার্জার কি সব ব্র্যান্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
না, সব ফাস্ট চার্জার সব ব্র্যান্ডের ডিভাইসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সাধারণত ফাস্ট চার্জারগুলো তার নিজস্ব ব্রান্ডের ফোনের সাথেই বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
ফাস্ট চার্জারে কি ডিভাইস গরম হয়?
হ্যাঁ, ফাস্ট চার্জার আউটপুটে অধিক পরিমাণে পাওয়ার প্রদান করে বলে ডিভাইস অনেক সময় গরম। তবে, এটি সাধারণত নিরাপদ এবং এতে ডিভাইসের কোনো ক্ষতি হয় না।