একজন ওয়াইফাই ব্যবহারকারীর ইমেইল চেক করা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা, ভিডিও কলে কথা বলা, এমনকি অফিসের কাজসহ সব কিছুই তার ওয়াইফাই এর উপর নির্ভর করে।
আর এই কাজগুলো সুন্দরভাবে করার জন্য তার ওয়াইফাই স্পিড অবশ্যই ভালো হতে হবে। কারন ওয়াইফাই স্পিড ভালো না হলে বাফারিং সমস্যা দেখা দিবে, যা ইন্টারনেট ব্যবহারে বাধার সৃষ্টি করবে।
তাই, ইন্টারনেট ব্যবহারে ওয়াইফাই স্পিড কত হলে ভালো হবে এবং তার উপর ভিত্তি করে আপনাকে কত এমবিপিএসের প্যাকেজ নিতে হবে এসকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের আর্টিকেলে।
আলোচ্য বিষয়সমূহ
ওয়াইফাই স্পিড কত হলে ভালো
আসলে ওয়াইফাই স্পিড কত হলে ভালো হবে এটি নির্ভর করবে আপনি ওয়াইফাই দিয়ে কি কি ব্রাউজিং করবেন এবং কয়টি ডিভাইস ব্যবহার করবেন এই দুটি বিষয়ের উপরে।
যেমন আপনি যদি শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন তাহলে তার জন্য যেই পরিমাণ স্পিড প্রয়োজন হবে, ভিডিও স্ট্রিমিং অথবা গেমিং করতে গেলে তার থেকে বেশি স্পিডের প্রয়োজন হবে।
আবার একটি ডিভাইসের জন্য যে স্পিডের প্রয়োজন হবে একের অধিক ডিভাইসের জন্য তার বেশি স্পিডের প্যাকেজের দরকার হবে।
চলুন এখন কোন কোন কাজের জন্য ওয়াইফাই স্পিড কত এমবিপিএস হলে ভালো হবে সেটি জেনে নেওয়া যাক।
ডেইলি ইউজ এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজিং
আপনি যদি অনলাইনে তেমন ভারী কোনো কাজ না করে শুধুমাত্র দৈনন্দিন জীবনের কিছু কাজ যেমন: ইন্টারনেট ব্রাউজিং করেন, খবর পড়েন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন তাহলে আপনার জন্য ৫-১০ এমবিপিএস স্পিডের একটি ওয়াইফাই প্যাকেজ নিলেই যথেষ্ট হবে।
ভিডিও স্ট্রিমিং
নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম এবং ইউটিউবের মতো প্লাটফর্মগুলোতে এইচডি এবং আল্ট্রাএইচডি কোয়ালিটিতে ভিডিও স্ট্রিমিং করার জন্য ওয়াইফাই স্পিড ১০-২৫ এমবিপিএস হলে ভালো হবে।
সাধারণত ভিডিও স্ট্রিমিং সাইটগুলোতে স্ট্যানডার্ড, হাই এবং আল্ট্রাএইচডি কোয়ালিটিতে ভিডিও দেখার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ এমবিপিএস ব্যবহারের রেকোয়ারমেন্ট থাকে।
নিচে আমাদের দেশে স্ট্রিমিং হয় এমন জনপ্রিয় কয়েকটি ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্মের ইন্টারনেট স্পিডের রেকোয়ারমেন্ট দেওয়া হলো।
ইউটিউব
ভিডিও রেজুলেশন | রেকোমেন্ডেড স্পিড |
SD 360p | 0.7 Mbps |
SD 480p | 1.1 Mbps |
HD 720p | 2.5 Mbps |
HD 1080p | 5 Mbps |
4K UHD | 20 Mbps |
নেটফ্লিক্স
ভিডিও রেজুলেশন | রেকোমেন্ডেড স্পিড |
HD 720p | 3 Mbps |
FHD 1080p | 5 Mbps |
UHD 4K | 15 Mbps |
অ্যামাজন প্রাইম
ভিডিও রেজুলেশন | রেকোমেন্ডেড স্পিড |
SD | 1 Mbps |
HD 720p | 5 Mbps |
UHD 4K | 15 Mbps |
অনলাইন গেমিং
সাধারণত অনলাইনে অন্যান্য কাজ করতে যে পরিমাণ ইন্টারনেট স্পিডের প্রয়োজন হয়, গেমিং করতে তার থেকে বেশি ইন্টারনেট স্পিডের দরকার হয়।
এক্ষেত্রে একজন হেভি গেমার হিসেবে আপনি যদি বেশিরভাগ সময় পিসিতে গেমিং করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ওয়াইফাই স্পিড ১৫-২৫ এমবিপিএস পারফেক্ট হবে।
সেইসাথে আপনার ওয়াইফাই স্পিডকেও অবশ্যই স্টেবল হতে হবে।
ভিডিও কল এবং অনলাইন মিটিং
সাধারণত ভিডিও কলের ক্ষেত্রে ওয়াইফাইয়ের ডাউনলোড এবং আপলোড উভয়ের স্পিডই ১-৩ এমবিপিএস হওয়া প্রয়োজন। কারন এই দুটোই ভিডিও কলকে সমানভাবে প্রভাবিত করে।
তবে ভালো ভিডিও কোয়ালিটি এবং গ্রুপ কলের জন্য স্পিড ৩ এমবিপিএস এর একটু বেশি রাখা ভালো।
জেনে নিনঃ ফোনে কল আসে কিন্তু দেখা যায় না কেন
নোটঃ উপরে আমরা ব্যবহার অনুযায়ী যেই স্পিডের কথা উল্লেখ করেছি সেগুলো কেবলমাত্র একটি ডিভাইসের জন্য প্রযোজ্য।
তাই, আপনার ডিভাইস সংখ্যা যদি একের অধিক হয়ে থাকে তাহলে আপনি সে অনুযায়ি বেশি স্পিডের ওয়াইফাই প্যাকেজ ক্রয় করবেন।
বাংলাদেশে ইউটিউব দেখার জন্য কত এমবিপিএস এর প্যাকেজ কিনবেন
উপরে ভিডিও স্ট্রিমিং সেকশনে আমরা যেমনটি দেখলাম যে, ইউটিউবে 4K কোয়ালিটিতে একটি ভিডিও দেখার জন্য ২০ এমবিপিএস স্পিড প্রয়োজন।
যার মানে হচ্ছে, 4K কোয়ালিটিতে ইউটিউব ভিডিও দেখার জন্য শুধুমাত্র একটি ডিভাইসের জন্যই আমাদের ২০ এমবিপিএস এর ওয়াইফাই প্যাকেজ কিনতে হবে।
কিন্তু আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে এই পোস্টটি পড়ছেন তাহলে আপনার জন্য সুসংবাদ হচ্ছেঃ শুধুমাত্র ইউটিউব ভিডিও দেখার জন্য আপনাকে ২০ এমবিপিএসের কোনো প্যাকেজ কিনতে হবে না।
এর কারন হচ্ছে, আমাদের দেশে ওয়াইফাইয়ের যে প্যাকেজগুলো রয়েছে সেগুলোতে ইউটিউব, ফেসবুক এবং প্লেস্টোরের জন্য মূল স্পিডের থেকে বেশি স্পিড দেওয়া রয়েছে।
সহজ কথায়, আপনার ওয়াইফাই প্যাকেজটি যদি ৫ এমবিপিএস এর হয় তাহলে সেখানে ইউটিউব, ফেসবুক এবং প্লেস্টোরের জন্য সর্বনিম্ন ৫০ এমবিপিএস স্পিড দেওয়া রয়েছে। কোনো কোনো আইএসপি আবার ১০০ এমবিপিএসও দিয়ে থাকে।
অর্থাৎ আপনি ৫ এমবিপিএস এর একটি প্যাকেজ কিনলে সেই পাকেজ দিয়েই 4K কোয়ালিটিতে ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারবেন।
সেইসাথে ২-৩ টি ফোনে অনায়াসেই ইউটিউব চালাতে পারবেন।
ওয়াইফাই স্পিড চেক
চাহিদা অনুযায়ী আপনার জন্য ওয়াইফাই স্পিড কত হলে ভালো হয়, অন্যদিকে আপনি কত এমবিপিএস স্পিডের ওয়াইফাই ব্যবহার করেছেন সেটি স্পিড চেক করার মাধ্যমে জানতে পারবেন।
তো, উপরে “বাংলাদেশে ইউটিউব দেখার জন্য কত এমবিপিএস এর প্যাকেজ কিনবেন” সেকশনে যেমনটি আমরা আলোচনা করলাম যে, আমাদের দেশে ওয়াইফাই প্যাকেজগুলোতে ফেসবুক, ইউটিউব এবং প্লেস্টোরের জন্য মূল প্যাকেজের স্পিড থেকে বেশি পরিমাণে স্পিড থাকে।
সে অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ওয়াইফাই স্পিড চেক-কে আমরা দুইভাবে ভাগ করতে পারি।
- ইউটিউব/ফেসবুক/প্লেস্টোরের জন্য স্পিড চেক
- ওয়াইফাই প্যাকেজের মূল স্পিড চেক
1. ইউটিউব, ফেসবুক এবং প্লেস্টোরের জন্য স্পিড চেক
এই তিনটি প্লাটফর্মে আপনার ওয়াইফাই স্পিড কত সেটি জানতে পারবেন নিচের জনপ্রিয় ২টি স্পিড টেস্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
Fast.com
Fast.com এর মাধ্যমে আপনার ওয়াইফাইয়ে ফেসবুক এবং ইউটিউবের স্পিড দেখার জন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না।
জাস্ট ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করবেন।
ব্যস, তাহলেই আপনার ইন্টারনেট স্পিড টেস্ট হওয়া শুরু হয়ে যাবে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রেজাল্ট চলে আসবে।
Speedtest by Ookla
- প্রথমে Speedtest.net-এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন।
- মোবাইল থেকে ঢুকলে Continue on the web লেখাটিতে ক্লিক করবেন। আর পিসি থেকে ঢুকলে GO বাটন দেখতে পারবেন।
- Go বাটনটিতে ট্যাপ করবেন।
- তাহলে আপনার ওয়াইফাইয়ে ইউটিউব, ফেসবুক এবং প্লেস্টোরের স্পিড কত সেটি দেখতে পারবেন।
নোটঃ এছাড়াও আপনি যদি আপনার সিমের ইন্টারনেট স্পিড চেক করতে চান তাহলে উপরের ওয়েবসাইট দুটি ব্যবহার করতে পারেন।
পড়ুনঃ কথা বলার জন্য টেলিটক কোন সিম ভালো
2. ওয়াইফাই প্যাকেজের মূল স্পিড চেক
আপনি আইএসপি থেকে কত এমবিপিএস এর ওয়াইফাই প্যাকেজ নিয়েছেন এবং সেই প্যাকেজ থেকে কেমন স্পিড পাচ্ছেন সেটি দেখার জন্য নিচের স্টেপগুলো ফলো করুন-
- Proof.ovh.net এই ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করুন।
- Start Test-এ ট্যাপ করুন।
- ব্যস, তাহলে নিচের মতো আপনার ওয়াইফাই প্যাকেজের মূল স্পিড দেখতে পারবেন।
পড়ুনঃ ওয়াইফাই কানেক্ট কিন্তু নো ইন্টারনেট সমস্যার কারণ ও সমাধান
ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর উপায়
ওয়াইফাই স্পিড কম থাকলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো ফলো করে ওয়াইফাই স্পিডকে আগের তুলনায় বাড়ানো যায়।
নিচে সেই উপায়গুলো তুলে ধরা হলো-
1. রাউটারকে সঠিক স্থানে রাখা
রাউটার ঘরের কোণে, ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা দেয়ালের সাথে থাকলে সিগন্যাল দুর্বল হতে পারে।
তাই রাউটারকে বাড়ির কেন্দ্রীয় স্থানে এবং খোলামেলা জায়গায় রাখুন, যাতে সিগন্যাল সারা ঘরে সমানভাবে পৌঁছাতে পারে।
এছাড়াও রাউটারকে উচ্চস্থানে রাখলে আরো ভালো হয়। কারণ এতে সিগন্যাল চারদিকে সহজে ছড়ায়, যা ইন্টারনেটের গতি কিছুটা বাড়িয়ে দেয়।
2. রাউটারের অ্যান্টেনা সঠিকভাবে স্থাপন করা
অনেক রাউটারে বহিরাগত অ্যান্টেনা থাকে যেগুলো সঠিকভাবে স্থাপন করে রাউটারের স্পিড বাড়ানো যায়। এক্ষেত্রে অ্যান্টেনাগুলোকে বিভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দিন, যাতে চারদিকে ভালোভাবে সিগন্যাল পাওয়া যায়।
এছাড়াও একটি অ্যান্টেনাকে উল্লম্ব রেখে বাকিগুলোকে অনুভূমিকভাবে স্থাপন করলে দ্বিমাত্রিক সিগন্যাল কাভারেজ পাওয়া হয়।
এভাবে অ্যান্টেনা সঠিকভাবে স্থাপন করলে রাউটারের স্পিড বাড়ানো সহজ হয়।
3. রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট করা
রাউটারের প্রস্তুতকারকরা প্রায় সময়ই ফার্মওয়্যার আপডেট দিয়ে পুরনো বাগ বা ত্রুটি সংশোধন করেন এবং নতুন ফিচার যোগ করেন, ফলে রাউটারের পারফরম্যান্স উন্নত হয়।
পাশাপাশি ফার্মওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে তারা নতুন ডিভাইস এবং প্রযুক্তির সঙ্গে রাউটারকে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখে, যা রাউটারের স্পিড বাড়াতে সহায়তা করে।
তাই আপনার রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট আছে কিনা তা চেক করুন এবং প্রয়োজনে ফার্মওয়্যার আপডেট করুন।
4. চ্যানেল পরিবর্তন করা
ওয়াইফাই রাউটার সাধারণত একটি নির্দিষ্ট চ্যানেলে কাজ করে। আর আপনার আশেপাশে যদি অনেক রাউটার একই চ্যানেলে থাকে, তাহলে সিগন্যালের সংঘর্ষ হতে পারে।
এক্ষেত্রে ওয়াইফাই চ্যানেল পরিবর্তন করলে নেটওয়ার্ক কনজেশন কমে এবং ইন্টারনেট স্পিড বাড়ে।
5. কম ডিভাইস ব্যবহার করা
রাউটারে একসাথে অনেক ডিভাইস সংযুক্ত থাকলে ওয়াইফাই সিগন্যালের গতি এবং ইন্টারনেট স্পিড কমে যায়। অন্যদিকে কম ডিভাইস থাকলে ব্যান্ডউইথ শেয়ারিং কম হয়, ফলে স্পিড বৃদ্ধি পায়।
তাই আপনার রাউটারে যদি অতিরিক্ত ডিভাইস সংযুক্ত থাকে তাহলে, আপনি ব্যবহার করছেন না এমন ডিভাইসগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিন।
6. ডুয়াল ব্যান্ডের রাউটার হলে 5GHz কানেক্ট করা
ডুয়াল ব্যান্ড রাউটার সাধারণত দুটি ব্যান্ড প্রদান করে- 2.4GHz এবং 5GHz.
2.4GHz ব্যবহার করলে বেশি কভারেজ পাওয়া যায়, তবে এটিতে আপলোড এবং ডাউনলোড স্পিড কম পাওয়া যায়।
অন্যদিকে 5GHz ব্যান্ডের কাভারেজ অনেক কম হওয়ায় এটিতে কানেক্টেড ডিভাইসের সংখ্যা অনেক কম হয়, ফলে 5GHz-এ ইন্টারনেট স্পিড বেশি পাওয়া যায়।
তাই আপনার রাউটারটি যদি ডুয়াল ব্যান্ডের হয় তাহলে 5GHz-এ ডিভাইস সংযোগ করুন।
7. ভালো ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার থেকে সংযোগ নেওয়া
যদি আপনার আইএসপি-এর ইন্টারনেট সেবা খুবই খারাপ হয়, তাহলে ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর কোনো উপায়ই কাজে আসবে না।
তাই সবার আগে আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (ISP) এর সেবার কোয়ালিটি সম্পর্কে জানুন, এরপর ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর জন্য উপরের উপায়গুলো এপ্লাই করুন।
উপসংহার
ভালো ওয়াইফাই স্পিডের জন্য প্রথম কাজ হচ্ছেঃ ওয়াইফাই স্পিড কত হলে ভালো হবে সেটি জানা এবং সে অনুযায়ী আদর্শ একটি প্যাকেজ ব্যবহার করা।
এরপর দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে, আপনি যেই প্যাকেজটি ব্যবহার করছেন সেখান থেকে কত এমবিপিএস স্পিড পাচ্ছেন সেটি স্পিডটেস্টের মাধ্যমে চেক করে দেখা এবং কাঙ্খিত স্পিড নিশ্চিত করা।
যদি আপনার প্রয়োজনীয় স্পিডের সাথে স্পিডটেস্টের স্পিড সমান বা তার বেশি হয় তাহলেই আপনি আপনার ওয়াইয়াই থেকে ভালো ইন্টারনেট স্পিড পাবেন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)
ব্যান্ডউইথ কি?
ব্যান্ডউইথ হল ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে ডেটা ট্রান্সফার করার সর্বাধিক গতি বা পরিমাণ, যা প্রতি সেকেন্ডে মেগাবিট (Mbps) বা প্রতি সেকেন্ডে গিগাবিট (Gbps) এককে মাপা হয়। সাধারণত ব্যান্ডউইথ বেশি হলে নেটওয়ার্ক স্পিড এবং ক্যাপাসিটি বেশি হয়।
১০ এমবিপিএস দিয়ে কয়টি মোবাইল চালানো যাবে?
ডেইলি ইউজ যেমন: গুগল সার্চ, ওয়েবসাইট ব্রাউজিং, ফেসবুক এবং ইউটিউব ভিডিও দেখা এসবের ক্ষেত্রে ১০ এমবিপিএসের একটি ওয়াইফাই লাইন থেকে চার থেকে পাঁচটি মোবাইল চালানো যাবে।
৫ এমবিপিএস-এ ডাউনলোড স্পিড কত?
৫ এমবিপিএস এর ওয়াইফাই প্যাকেজে ডাউনলোড স্পিড হচ্ছে 625 KBps (অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় 625 কিলোবাইট ডাউনলোড হবে)
ওয়েব ব্রাউজিং এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ কত?
ভালোভাবে ওয়েব ব্রাউজিং করার জন্য ৫-১০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন।
জুম কলের জন্য ইন্টারনেট স্পিড কত লাগে?
৩ এমবিপিএস স্পিডই জুম কলে কথা বলার জন্য যথেষ্ট।